Wednesday, June 10, 2020

স্বাস্থ্য ভালো রাখার সঠিক উপায়

স্বাস্থ্য ভালো রাখার সঠিক উপায়

স্বাস্থ্য ভালো রাখার সঠিক উপায়



মধুর উপকারিতা👉(Click)

কলোজিরার উপকারিতা👉(Click)

শরীর ভালো থাকলে মন যেমন ফুরফুরে ও সতেজ থাকে তেমন কাজের স্পৃহাও বাড়ে। আর মন ভালো থাকলে সবকিছুই ভালো লাগে। তাছাড়া সুস্থ, সুন্দর ও ফিট শরীর সবারই কাম্য। স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপনই পারে কেবন মাত্র মন মেজাজ ঠিক রাখতে এবং সুন্দর ও ফিট শরীর বজায় রাখতে। এখানে এমন কিছু স্বাস্থ্য টিপস দেয়া হল যা অনুসরণ করে আপনিও একটি ভাল ও স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে পারেন।
চলুন জেনে নেই সুস্থ থাকার কিছু নিয়মাবলীঃ
১। ভোরে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রতিদিন খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠে ৩০ – ৪০ মিনিট হাঁটুন। মনে রাখবেন হাটার চাইতে আর কোনো ভাল ব্যয়াম নেই। এতে মন এবং শরীর সতেজ থাকবে।
২। নিয়ম করে পরিমিত খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন, কম অথবা বেশি খাওয়া দুটাই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। খাবার তালিকায় আঁশযুক্ত খাবার (যেমন শাক সবজি এবং ফলমূল) বাড়ান। চর্বিজাতীয় খাবার কমিয়ে আনুন। ভাজা-পোড়া ও ফাস্টফুড জাতীয় খাবার সম্পূর্ণ বন্ধ করুন।
৩। প্রতিদিন কমপক্ষে ১০-১২ গ্লাস পানি পান করুন। দিনের শুরুতে লেবু ও মধু দিয়ে হালকা গরম পানি পান করুন। খাবারের সময় বেশি পানি পান না করে খাবার শেষে অন্তত এক থেকে দুই ঘণ্টা পর পানি পান করবেন।
৪। লালমাংস (গরু, মহিষ, ছাগলের মাংস), মিষ্টি, ঘি, ডালডা জাতীয় খাবার কম খান।
৫। ফলমূল ও শাকসবজি বেশি করে খাদ্য তালিকায় রাখুন। একবারে বেশি করে খাওয়ার চেয়ে অল্প অল্প করে বার বার খেতে পারেন। প্রত্যেক বারের খাবারে দুই রকমের সবজি এবং একটি ফল অর্ন্তভুক্ত করার চেষ্টা করবেন।
৬। প্রত্যেকবারের খাবারের সময় কাঁচা সবজির সালাদ খাবেন। শুধুমাত্র টাটকা শাক সব্জি খাবেন। তৎক্ষনাত রান্না করা খাবার খাবেন, কখনই বাসি খাবার খাবেন না৷
৭। খাবার থেকে সমস্ত ভাজা ও তেল জাতীয় খাবার ত্যাগ করুন। এছাড়াও খাবারের তালিকা থেকে উচ্চ চিনিযুক্ত খাবার যেমন- হালকা পানীয়, আইসক্রিম, ক্যান্ডি এবং কুকিজ বাদ দিন।
৮। আপনার শরিরের প্রকৃতি অনুযায়ী ব্যয়াম করুন। যাদের মেদ বা ভুড়ি জমেছে তারা নিয়মিত ও সঠিক ব্যায়াম করতে পারেন। হাঁটা ও অন্যান্য ব্যয়াম এর পাশাপাশি সম্ভব হলে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যয়াম করুন।
৯। অতিমাত্রায় চা ও কফির অভ্যাস ত্যাগ করুন তার পরিবর্তে টাটকা ফলের রস খান। শরীরের নিয়মিত যত্ন নিন। শরীরের সৌন্দর্য বজায় রাখুন।
১০। রাতে তাড়াতাড়ি খাওয়া উচিত। খাওয়ার কম পক্ষে দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর শোওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
১১। প্রতিদিন রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমের অভ্যাস গড়ুন। সুস্বাস্থ্য ও ফিগারের জন্য নিয়মিত ও পরিমিত ঘুম প্রয়োজন। দিনে শোওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলুন। রাতে শোয়ার আগে ঢিলেঢালা পোশাক পরুন।
স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। কারণ আপনার শরীর যদি ভালো না থাকে তাহলে কোন কিছুতেই আপনি ভালো থাকতে পারবেন না। তাই সবার আগে চাই সুস্থ শরীর।

প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ভিন্নতা: প্রতিদিন একই ধরনের খাবার খাওয়া উচিত নয়। তাই প্রতিদিন খাবারের তালিকায় বিভিন্ন রকম ভিটামিন, মিনারেল এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার রাখুন। খাবারের পরিমান থেকে গুনগত মানেরদিকে লক্ষ্য রাখুন। এই যেমন প্রোটিন শরীরের ওজন বাড়িয়ে দেয় তাই মানসম্পন্নভাবে শক্তি সরবরাহ করে এমন খাবার গ্রহণ করুন যা কোষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন আঁশযুক্ত খাবার এবং মৌসুমি ফল: শিম, মটরশুটি, বরবটির মতো আঁশযুক্ত সবজি শরীরের সুগার নিয়ন্ত্রনে যেমন সাহায্য করে তেমনি হৃদরোগ প্রতিরোধেও অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে। বাধাঁকপি, ফুলকপি সবজি সমূহ ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে যারা ফলমুল এবং শাক-সবজি বেশি বেশি খায় তাদের হাঁপানিসহ বিভিন্ন অ্যালার্জিজনিত রোগের ঝুঁকি কম থাকে।
খাদ্য তালিকায় রাখুন শর্করা: মানুষের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য প্রয়োজন শর্করা এবং গ্লুকোজ। আর এগুলো থাকে বিভিন্ন ফল, মিষ্টিআলু, শষ্যদানা প্রভৃতিতে। ভুট্টা-গম এসব শষ্যদানায় পেতে পারেন আয়রণ, থিয়েমিন, নিয়াসিন, ভিটামিন-বি এবং আরো অনেক উপকারী উপাদান যা আপনার প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে পেশির শক্তি বৃদ্ধি করে। এছাড়া গমেররুটিতে থাকা ভিটামিন-ই, ফাইবার ও সেলেনিয়াম। যা শরীরের ফাইবারের মাত্রা বৃদ্ধি করে যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে পেটের রোগের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন অল্পপরিমাণে বাদাম: এছাড়া খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন অল্পপরিমাণে বিভিন্ন ধরনের বাদাম রাখুন। চিনাবাদাম, কাজুবাদাম ও পেস্তাবাদামসহ প্রভৃতিবাদামে প্রচুর পরিমানে আয়রন, পটাসিয়াম, ভিটামিন-এ, ক্যালসিয়াম, ফলিক এসিডসহ প্রচুর উপকারী উপাদান রয়েছে। নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে বাদাম খেলেহার্ট ভালো থাকে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
বেশি করে হাসুন: সুস্থ থাকার সহজ উপায় হিসেবে বেশি করে হাসার প্রয়োজন।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান: একজন পরিণত বয়সের মানুষের রাতে গড়ে দৈনিক ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম দরকার। কিন্তু একটানা যদি ঘুমের ঘাটতি চলতে থাকে তবে শরীরের উপরে এর খুব নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই, দেহ ও মনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পর্যাপ্ত ঘুমের কোনো বিকল্প নেই।
ব্যয়াম করুন: আপনার শরিরের প্রকৃতি অনুযায়ী ব্যয়াম করুন। যাদের মেদ বা ভুড়ি জমেছে তারা নিয়মিত ও সঠিক ব্যায়াম করতে পারেন। হাঁটা ও অন্যান্য ব্যয়াম এর পাশাপাশি সম্ভব হলে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যয়াম করুন।
অতিমাত্রায় চা ও কফির অভ্যাস ত্যাগ করুন:অতিমাত্রায় চা ও কফির অভ্যাস ত্যাগ করুন তার পরিবর্তে টাটকা ফলের রস খান। শরীরের নিয়মিত যত্ন নিন। শরীরের সৌন্দর্য বজায় রাখুন।
রাতে তাড়াতাড়ি খাওয়া উচিত: রাতে তাড়াতাড়ি খাওয়া উচিত। খাওয়ার কম পক্ষে দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর শোওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

কালোজিরার বিশেষ কিছু উপকারিতা

কালোজিরার বিশেষ কিছু উপকারিতা

কালোজিরার বিশেষ কিছু উপকারিতা

কালোজিরা খুব পরিচিত একটি নাম। ছোট ছোট কালো দানাগুলোর মধ্যে সৃষ্টিকর্তা যে কী বিশাল ক্ষমতা নিহিত রেখেছেন তা সত্যি বিস্ময়কর।
প্রাচীনকাল থেকে কালোজিরা মানবদেহের নানা রোগের প্রতিষেধক এবং প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেন: “ তোমরা কালোজিরা ব্যবহার করবে, কেননা এতে একমাত্র মৃত্যু ব্যতীত সর্বরোগের মুক্তি এতে রয়েছে”। সহীহ বুখারীঃ ১০/১২১
কালোজিরায় কি আছে
কালোজিরার মধ্যে রয়েছে ফসফেট, লৌহ, ফসফরাস, কার্বো-হাইড্রেট ছাড়াও জীবাণু নাশক বিভিন্ন উপাদানসমূহ।কালোজিরার রয়েছে ক্যন্সার প্রতিরোধক কেরোটিন ও শক্তিশালী হরমোন, প্রস্রাব সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান, পাচক এনজাইম ও অম্লনাশক উপাদান এবং অম্লরোগের প্রতিষেধক।
ক্রিয়াক্ষেত্র
মস্তিষ্ক, চুল, টাক ও দাঁদ, কান, দাঁত, টনসিল, গলাব্যথা, পোড়া নারাঙ্গা বা বিসর্গ, গ্রন্থি পীড়া, ব্রণ, যাবতীয় চর্মরোগ, আঁচিল, কুষ্ঠ, হাড়ভাঙ্গা, ডায়াবেটিস, রক্তের চাড় ও কোলেষ্টরেল, কিডনী, মুত্র ওপিত্তপাথরী, লিভার ও প্লীহা, ঠান্ডা জনিত বক্ষব্যাধি, হৃদপিন্ড ও রক্তপ্রবাহ, অম্লশূল বেদনা, উদরাময়, পাকস্থলী ও মলাশয়, প্রষ্টেট, আলসার ও ক্যান্সার। চুলপড়া, মাথাব্যথা, অনিদ্রা, মাথা ঝিমঝিম করা, মুখশ্রী ও সৌন্দর্য রক্ষা, অবসন্নতা-দুর্বলতা, নিষ্কিয়তা ও অলসতা, আহারে অরুচি, মস্তিষ্কশক্তি তথা স্মরণশক্তি বাড়াতেও কালোজিরা উপযোগী। কালোজিরার যথাযথ ব্যবহারে দৈনন্দিন জীবনে বাড়তি শক্তি অজির্ত হয়। কালোজিরার তেল ব্যবহারে রাতভর আপনি প্রশান্তিপর্ন নিদ্রা যেতে পারেন। কালোজিরার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ওষুধ প্রস্তুত
আগেই বলেছি আমরা কালোজিরার টীংচার, বড়ি ও তেল ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করছি। কখনো এককভাবে কখনো অন্য ওষুধের সাথে সংমিশ্রিত করে রোগীক্ষেত্র প্রয়োগ করে থাকি। কালোজিরা তেলের সাথে জলপাই তেল, নিম তেল, রসুনের তেল, তিল তেল মিশিয়ে নেয়া যায়। কালোজিরা আরক ও কমলার রস।
কালোজিরার অশেষ গুণ, যে সকল সমস্যায় কালোজিরা বিশেষভাবে কার্যকর
ব্যবহার
কালোজিরা + পুদিনা চায়ের সাথে কালোজিরা কালোজিরা + রসুন + পেঁয়াজ কালোজিরা + গাজর
১. মাথাব্যথা
মাথা ব্যথায় কপালে উভয় চিবুকে ও কানেরপার্শ্ববর্তি স্থানে দৈনিক ৩/৪বার কালোজিরার তেল মালিশ করূন। ৩ দিন খালি পেটে চা চামচে এক চামচ করে তেল পান করুন। সচরাচর মাথাব্যথায় মালিশের জন্য রসুনের তেল, তিল তেল ও কালোজিরার তেলের সংমিশ্রণ মাথায় ব্যবহার করুন।
হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ন্যাট্রম মিউর ও ক্যালকেরিয়া ফসের মধ্যে লক্ষণ মিলিয়ে একটা হোমিওপ্যাথিক ও অপরটা বায়োকেমিক হতে প্রয়োগ করুন। প্রয়োজনবোধে প্রথমে বেলেডোনা ব্যবহার করে নিতে পারেন।
২. চুলপড়া
লেবু দিয়ে সমস্ত মাথার খুলি ভালোভাবে ঘষুণ। ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ও ভালোভাবে মাথা মুছে ফেলুন। তারপর মাথার চুল ভালোভাবে শুকানোর পর সম্পুর্ন মাথার খুলিতে কালোজিরার তেল মালিশ করুন। ১ সপ্তাতেই চুলপড়া বন্ধ হবে।মাথার যন্ত্রনায় কালোজিরার তেলের সাথে পুদিনার আরক দেয়া যায়। এক্ষেত্র পুদিনার টীংচার রসুনের তেল, তিলতেল, জলপাই তেল ও কালোজিরার তেল একসাথে মিশিয়েও নেয়া যেতে পারে।
৩. কফ ও হাঁপানী
বুকে ও পিঠে কালোজিরারতেল মালিশ। এক্ষেত্রে হাঁপানীতে উপকারী অন্যান্য মালিশের সাথে এটা মিশিয়েও নেয়া যেতে পারে। রীতিমতো হোমোওপ্যাথিক ওষুধ আভ্যন্তরীন প্রয়োগ।
৪. স্মরণশক্তি ও ত্বরিত অনুভুতি
চা চামচে ১ চামচ কালোজিরার তেল ও ১০০ গ্রাম পুদিনা সিদ্ধ ১০দিন সেব্য। পাশাপাশি ক্যালকেরিয়া ফস ১২এক্স, ৩০এক্স দিনে ৩ বার ৪ বড়ি করে। সামান্য ঈষদোষ্ণ পানি সহ সেবন। কালোজিরার টীংচার ও পুদিনার টীংচারের মিশ্রণ দিনে ৩ বার ১৫-২০ ফোটা করে আহারের ১ঘন্টা আগে এবং ১ ঘন্টা পরে ক্যালকেরিয়া ফস ১২এক্স ও ৪বড়ি করে। প্রয়োজন বোধে ক্যালি ফস ১২এক্স ও একসঙ্গে দেয়া যেতে পারে।
৫. ডায়াবেটিস
কালোজিরার চূর্ণ ও ডালিমের খোসাচূর্ণ মিশ্রন, কালোজিরার তেল ডায়াবেটিসে উপকারী। রোগীর অবস্থানুযায়ী অন্যান্য হোমিওপ্যাথিক মাদার ও ভেষজ সহ ব্যবস্থেয়।
৬. কিডনি সমস্যা
কিডনির পাথর ও ব্লাডার ২৫০ গ্রাম কালোজিরা ও সমপরিমান বিশুদ্ধ মধু। কালোজিরা উত্তমরূপে গুড়ে করে মধুর সাথে মিশ্রিত করে দুই চামচ মিশ্রন আধাকাপ গরম পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন আধা চা কাপ পরিমাণ তেলসহ পান করতে হবে। কালোজিরার টীংচার মধুসহ দিনে ৩/৪ বার ১৫ ফোটা করে সেবন। পযায়ক্রমে বার্বারিস মুল আরক বা নির্দেশিত হলে অন্য কোন হোমিও অথবা বায়োকেমিক ওষুধের পাশাপাশি।
৭. হৃদরোগ
মেদ ও হৃদরোগ/ধমনী সংকোচন চায়ের সাথে নিয়মিত কালোজিরা মিশিয়ে অথবা এর তেল বা আরক মিশিয়ে পান করলে হৃদরোগে যেমন উপকার হবে, তেমনি মেদ ও বিগলিত হবে।
৮. বদহজম
নিয়মিত পেট খারাপের সমস্যা থাকলে কালোজিরা সামান্য ভেজে গুঁড়ো করে ৫০০ মিলিগ্রাম হারে ৭-৮ চা চামচ দুধে মিশিয়ে সকালে ও বিকেলে সাত দিন ধরে খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। ডায়রিয়া সেলাইন ও হোমিও ওষুধের পাশাপাশি ১ কাপ দই ও বড় এক চামচ কালোজিরার তেল দিনে ২ বার ব্যবস্থেয়। এর মুল আরকও পরী্ক্ষনীয়।
৯. চোখে সমস্যা
চোখেরপীড়া রাতে ঘুমোবার আগে চোখের উভয়পাশে ও ভুরূতে কালোজিরার তেল মালিশ করূন এবং এককাপ গাজরের রসের সাথে একমাস কালোজিরা তেল সেবন করুন। নিয়মিত গাজর খেয়ে ও কালোজিরা টীংচার সেবনে আর তেল মালিশে উপকার হবে। প্রয়োজনে নির্দেশিত হোমিও ও বায়োকেমিক ওষুধ সেবন।
১০. উচ্চ রক্তচাপ 
উচ্চরক্তচাপ যখনই গরম পানীয় বা চা পান করবেন তখনই কালোজিরা কোন না কোন ভাবে সাথ খাবেন। গরম খাদ্য বা ভাত খাওয়ার সময় কালোজিরার ভর্তা খান। এ উভয় পদ্ধতির সাথে রসুনের তেল সাথে নেন। সারা দেহে রসুন ও কালোজিরার তেল মালিশ করুন। কালোজিরা, নিম ও রসুনের তেল একসাথে মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করুন। ভালোমনে করলে পুরাতন রোগীদের ক্ষেত্রে একাজটি ২/৩ দিন অন্তরও করা যায়।
১১. জ্বর সারায়
জ্বর সকাল-সন্ধায় লেবুর রসের সাথে ১ বড় চামচ কালোজিরা তেল পান করুন আর কালোজিরার নস্যি গ্রহন করুন। কালোজিরা ও লেবুর টীংচার (অ্যাসেটিক অ্যাসিড) সংমিশ্রন করেও দেয়া যেতে পারে।
১২. যৌন-দুর্বলতা
যৌন-দুর্বলতা কালোজিরা চুর্ণ ও যয়তুনের তেল (অলিভ অয়েল), ৫০ গ্রাম হেলেঞ্চার রস ও ২০০ গ্রাম খাটি মধু = একত্রে মিশিয়ে সকাল খাবারের পর ১চামচ করে সেব্য। কালোজিরার মূল আরক, হেলেঞ্চা মুল আরক, প্রয়োজনীয আরো কোন মুল আরক অলিভ অয়েল ও মধুসহ পরীক্ষনীয়।
১৩. স্ত্রীরোগ
প্রসব ও ভ্রুন সংরক্ষণ কালোজিরা মৌরী ও মধু দৈনিক ৪ বার সেব্য।
১৪. স্নায়ুবিক উত্তেজনা 
স্নায়ুবিক উত্তেজনা কফির সাথে কালোজিরা সেবনে দুরীভুত হয়।
১৫. সৌন্দর্য বৃদ্ধি
চেহারার নমনীয়তা ও সৌন্দর্যবৃদ্ধি অলিভ অয়েল ও কালোজিরা তেল মিশিয়ে অঙ্গে মেখে ১ ঘন্টা পর সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলন।
১৬. বাত
পিঠ ও বাত আক্রান্ত পিঠে ও অন্যান্য বাতের বেদনায় কালোজিরার তেল মালিশ করুন। খেতে দিন কোন নির্বাচিত হোমিওপ্যাথি ওষুধ।
কালিজিরার ভেষজ ব্যবহার
রুচি, উদরাময়, শরীর ব্যথা, গলা ও দাঁতের ব্যথা, মাইগ্রেন, চুলপড়া, সর্দি, কাশি, হাঁপানি নিরাময়ে কালিজিরা সহায়তা করে। ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসাবে কালিজিরা সহায়ক ভূমিকা পালন করে। চুলপড়া, মাথাব্যথা, অনিদ্রা, মাথা ঝিমঝিম করা, মুখশ্রী ও সৌন্দর্য রক্ষা, অবসন্নতা-দুর্বলতা, নিষ্কিয়তা ও অলসতা, আহারে অরুচি, মস্তিষ্কশক্তি তথা স্মরণশক্তি বাড়াতেও কালোজিরা উপযোগী। কালোজিরা চূর্ণ ও ডালিমের খোসাচূর্ণ মিশ্রন, কালোজিরা তেল ডায়াবেটিসে উপকারী।
চায়ের সাথে নিয়মিত কালোজিরা মিশিয়ে অথবা এর তেল বা আরক মিশিয়ে পান করলে হৃদরোগে যেমন উপকার হয়, তেমনি মেদ ও বিগলিত হয়। মাথা ব্যথায় কপালে উভয় চিবুকে ও কানের পার্শ্ববর্তি স্থানে দৈনিক ৩/৪ বার কালোজিরা তেল মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়।
জ্বর, কফ, গায়ের ব্যথা দূর করার জন্য কালিজিরা যথেষ্ট উপকারী বন্ধু। এতে রয়েছে ক্ষুধা বাড়ানোর উপাদান। পেটের যাবতীয় রোগ-জীবাণু ও গ্যাস দূর করে ক্ষুধা বাড়ায়। কালিজিরায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোরিয়াল এজেন্ট, অর্থাৎ শরীরের রোগ-জীবাণু ধ্বংসকারী উপাদান। এই উপাদানের জন্য শরীরে সহজে ঘা, ফোড়া, সংক্রামক রোগ (ছোঁয়াচে রোগ) হয় না।
১. সন্তান প্রসবের পর কাঁচা কালিজিরা পিষে খেলে শিশু দুধ খেতে পাবে বেশি পরিমাণে।
২. মধুসহ প্রতিদিন সকালে কালোজিরা সেবনে স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও সকল রোগ মহামারী হতে রক্ষা পাওয়া যায়।
৩. দাঁতে ব্যথা হলে কুসুম গরম পানিতে কালিজিরা দিয়ে কুলি করলে ব্যথা কমে; জিহ্বা, তালু, দাঁতের মাড়ির জীবাণু মরে।
৪. কালিজিরা কৃমি দূর করার জন্য কাজ করে। কালিজিরা মেধার বিকাশের জন্য কাজ করে দ্বিগুণ হারে।
৫. কালিজিরা নিজেই একটি অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসেপটিক। দেহের কাটা ছেঁড়া শুকানোর জন্য কাজ করে। নারীর ঋতুস্রাবজনীত সমস্যায় কালিজিরা বাটা খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৬. তিলের তেলের সাথে কালিজিরা বাঁটা বা কালিজিরার তেল মিশিয়ে ফোড়াতে লাগালে ফোড়ার উপশম হয়।
কালোজিরার যথাযথ ব্যবহারে দৈনন্দিন জীবনে বাড়তি শক্তি অজির্ত হয়। এর তেল ব্যবহারে রাতভর প্রশান্তিপর্ন নিদ্রা হয়। প্রসূতির স্তনে দুগ্ধ বৃদ্ধির জন্য, প্রসবোত্তর কালে কালিজিরা বাটা খেলে উপকার পাওয়া যায়। তবে গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত কালিজিরা খেলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা থাকে। প্রস্রাব বৃদ্ধির জন্য কালিজিরা খাওয়া হয়

Tuesday, June 9, 2020

কবুতরের টাল রোগের সমাধান

কবুতরের টাল রোগের সমাধান


কবুতরের ঘাড় টাল রোগ :

কবুতর বিষয়ক আরও তথ্য পেতে (Click)

পালকদের কাছে সব থেকে পরিচিত রোগ গুলোর মধ্যে অন্যতম টাল রোগ। এই রোগে আক্রান্ত কবুতর এর ঘাড় প্যারালাইসড হয়ে যায়। ফলে কবুতর মাথা সোজা করে দাড়াতে পারে না। উড়তে গেলে পড়ে যায় বা পিছনের দিকে চলে যায়। নিজ থেকে খেতে পারে না। চিকিৎসা না করালে আক্রান্ত কবুতরের মৃত্যু ছাড়া গতি নাই। সাধারণত এক খামারে এক সাথে বা সামান্য আগে পড়ে অনেক কবুতর আক্রান্ত হয়। যদিও এটি ছোয়াচে রোগ নয়। এক সাথে অনেক কবুতর আক্রান্ত হবার পিছনে কারণ হল যা কারণে একটি কবুতর আক্রান্ত হয়েছে সেই একই কারণ বাকী গুলোর ক্ষেত্রেও হয়েছে। তাহলে আসুন জেনে নেই কেন এই রোগ হয় বা এর প্রতিকার, প্রতিরোধ কি ?

➥ ❒ কারণঃ

ভিটামিন বি এর অভাবে এই রোগ হয়। ভিটামিন বি পানির সাথে মিশে যায়। ফলে কবুতরের শরীরে এই ভিটামিন জমা থাকে না। তাই শরীরে নিয়মিত ভাবে এই ভিটামিনের দরকার পড়ে। ঘাটতি হলে কবুতর এই রোগে আক্রান্ত হয়।

➥ ❒ লক্ষণঃ

১. ঘাড় বাকা হয়ে যায় বা পিছনের দিকে হেলে পড়ে।

২. সোজা হয়ে দাড়াতে বা উড়তে পারে না।

৩. খাবারে ঠিক মত ঠোকর দিতে পারে না।

৪. দিক বা লক্ষ ঠিক থাকে না।

৫. গোল গোল ঘুড়তে পারে।

৬. মাথা ঝুলে যায়।

৭. খেতে না পেরে দুর্বল হয়ে যায়।

৮. ঝিমাতে পারে ইত্যাদি

➥ ❒প্রতিকারঃ

এই রোগ হুট করে হয় না এবং সারতে ও সময় লাগে। দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। 
নিম্নে দেয়া সব গুলো কাজ ই করতে হবে।

ক) প্রথম পর্যায় :

১. Nuro B (Human)
injection 1/3cc (১সিসি এর ৩ ভাগের এক ভাগ) 
করে টানা ১০ দিন দিতে হবে। সকালে খাবারের আগে injection দিতে হবে। বুকের নরম অংশে injection দিবেন। সাবধান পা বা ঘাড়ে দিতে যাবেন না। অবশ্যই insulin or baby niddle ব্যবহার করবেন।

২. Injection দেবার পর হাতে ধরে খাওয়াবেন। 
(যদি নিজে থেকে খেতে না পারে।)

৩. দিনে ২/৩ঘন্টা রোদে দিবেন বা হেয়ার ড্রেয়ার ব্যবহার করবেন দিনে ২/৩বার।

৪. রোদে দিলে সাথে খাবার পানি দিবেন এবং এক কোণে একটু ছায়ার ব্যবস্থা করবেন যাতে প্রচন্ড রোদে কবুতর একটু ছায়া পায়।

৫. রাইস স্যালাইন হাতে ধরে খাইয়ে দিবেন। ৩০সিসি খাওয়াবেন বয়স অনুযায়ী কম বেশি হতে পারে। একবারে না খাইয়ে বাব বার খাওয়াবেন। এতে কবুতর শরীরে শক্তি পাবে।

৬. ঘাড়ে হালকা ম্যাসেজ করতে পারেন।

৭. কবুতরটিকে আলাদা রাখতে হবে।

খ) দ্বিতীয় পর্যায়

১০ দিন ইঞ্জেকশন দেবার পর ভালো না হলে আরো ৫দিন একই নিয়মে ইঞ্জেকশন দিবেন। তবে খেয়াল রাখবেন কোন মতেই ১৫দিনের বেশি ইঞ্জেকশন দিবেন না।

গ) তৃতীয় পর্যায়

মোট ১৫দিন ইঞ্জেকশন দেবের পরও ভালো না হলে ১৬তম দিন 

হতে vitamin b complex + codliver tab. ১টা করে ৫দিন।
যদি আপনি আপনার কবুতরকে নিউরো বি ইনজেকশন দিতে ইচ্ছুক না হন তবে ২য় চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরন করতে পারেন ।

১. Thewvit tab অর্ধেক + calseum tab ১টি অর্ধেক বিকেলে ভরা পেটে হাতে ধরে একটানা ৪৫দিন খাওয়ান।

২. Duit-B 1 gm = 1 litre পানিতে সপ্তাহে ৩দিন(৪৫দিনে ৩দিন করে ৬বার)।

৩. আক্রান্ত কবুতরকে প্রতিদিন নিয়ম করে ১ঘন্টা রোদে রাখুন। 

৪. কবুতর সুস্থ হয়ে গেলেও উল্লেখিত ঔষধের কোর্সটি ৪৫দিন কনটিনিউ করতে হবে ৪৫দিনে যদি সুস্থ না হয় তবে আরও দশ দিন ঔষধগুলি কনটিনিউ করুন ।

৫. চিকিৎসা চলাকালীন ঔষধ প্রয়োগে কোন অবহেলা করা যাবে না।

➥ ❒প্রতিরোধঃ

মাসে কমপক্ষে ৪দিন ভিটামিন বি প্রয়োগ করুন। ভিটামিন বি হিসেবে Toxinil, bio-vit ইত্যাদি দিতে পারেন। ১লি পানিতে ১সিসি করে টানা ৪দিন।
সুস্থ হলে কবুতরকে গোসল দিয়ে শুকিয়ে খামারে রাখুন। খামারে রাখার পর এক দিন স্যালাইন দিন এবং ২/১দিন প্রোবায়োটিক দিন।
কবুতর অসুস্থ হলে একে না মেরে এর যত্ন নিন, চিকিৎসা করুন।

➥ ❒ সতর্কতাঃ 
১) এই রোগের প্রথ ৭-১০ দিন গাড় সবুজ ধরনের পায়খানা করে ফলে অনেকেই অ্যান্টিবায়টিক প্রয়োগ শুরু করে দেন। এটি খুবই মারাত্মক এটি কখনও করবেন না অনুগ্রহ করে।

২) ইঞ্জেক্সন প্রয়োগের মাত্রা যেন কোন মতেই ৩৫ ইউনিট এর বেশী না হয়। কারণ এটি হলে কবুতরের হিট স্ট্রোক হবার সম্ভাবনা অনেক বেশী থাকে।

৩) কবুতর যদি ডিপথেরিয়াতে আক্রান্ত হয়ে টাল হয় বা অনেক রোগের লক্ষন থাকে তাহলে ইঞ্জেক্সন দিয়া থেকে দূরে থাকুন এ পর্যায়ে আগে সেই রোগটি নির্মূল করতে হবে পড়ে টাল এর চিকিৎসা করবেন। 

৪) কুবতরের পকাহার সংযোগ স্থলে বা জয়েন্টের যে পয়েন্ট সেখানে প্রয়োগ করবেন না। তাহলে আপনার কবুতরের জীবনের মায়া তৎক্ষণাৎ পরিত্যাগ করতে হতে পারে। 

৫) তরল কোন খামার প্রদান কালে খেয়াল রাখবেন পরিমান টা যেন বেশী না হয় বা প্রয়োগ কালে নাক মুখ দিয়ে যেন বের না হয়ে আসে। মনে রাখতে হবে কবুতর না খেয়ে মরে না খেয়ে মরে।
এই রোগটি তেমন মারাত্মক কিছু না। এই রোগটি খামারের ব্যাবস্থার উপর নির্ভর করে অর্থাৎ আপনি কততুকু সচেতন খামারি সেটাই নির্দেশ করে। আর দ্বিতীয়টি আপনার কততুকু ধৈর্য আছে সেটার একটা চরম পরীক্ষা হয়ে যায়। মানুষের শরীরে চুলকানি যেমন তার অসচেতনতা ও নোংরা স্বাস্থ্য ব্যাবস্থাপনা নির্দেশ করে তেমনি সাল্মনিল্লা ও টাল রোগ একটি খামারের তেমন ব্যাবস্থাপনার নির্দেশ করে থাকে। মনে রাখবেন এই রোগ থেকে ১০০% আরোগ্য সম্ভব যদি আপনি সঠিক ভাবে চিকিৎসা করেন। আর একথাটি কততুকু সত্য সেই সব সচেতন খামারিরা জানেন যারা এর ব্যাবহার সঠিক ভাবে করেছেন। এর থেকে উপকৃত হয়ে আর এই রোগ থেকে একটি কবুতর ভাল হয়ে গেলে। তার ডিম বাচ্চা করার প্রবনতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক গুন বেড়ে যায়। প্রতিকার থেকে প্রতিরোধ ভাল আর সে জন্যই আপনি সব সময় খেয়াল রাখবেন যেন এই রোগ টি থেকে আপনার কবুতর সব সময় নিরাপদ থাকে। 


সময় দেয়ার জন্যে সবাইকে ধন্যবাদ 

দয়া করে সবাই পোষ্টটি শেয়ার করবেন
যেভাবে - রেসার কবুতর প্রশিক্ষন দিবেন...

যেভাবে - রেসার কবুতর প্রশিক্ষন দিবেন...



যুগ যুগ ধরে সৌখিনতার বশে পৃথিবীর প্রয় সকল দেশেই কবুতর পালন হয়ে আসছে। কবুতর পালনের শুরু থেকেই আজ অবধি কবুতর পালনের পাশাপাশি এটি উড়ানোর প্রতিযোগিতা একটি অন্যতম সৌখিনতা। যদিও এখন আর এই সৌখিনতা শুধু একটি দেশ বা স্থানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই।আধুনিক সময়ে বিভিন্ন দেশের কবুতর পালকরা আন্তর্জাতিক ভাবে বিভিন্ন দেশের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।ধারনা করা হয় যে ২২০ খৃষ্টাব্দ থেকে এই রেসিং প্রতিযোগিতা হয়ে আসছে।এবং ১৯ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে এটি বেলজিয়ামে খুব জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলো।যাটি Voyageurs এবং Flemish ফেন্সিয়ার দের মাধ্যমে বিকাশ লাভ করেছিলো। সাধারণত একটি নিদিষ্ট শ্রেণীর কবুতরের প্রজাতির মাধ্যমে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রজাতিটিকে বলা হয় রেসার,আর যখন তাকে দিয়ে রেস করানো হয় তখন তাকে রেসিং কবুতর বলে। প্রতিযোগী কবুতরগুলি প্রায় ১০০ কিলোমিটার (৬২ মাইল) থেকে ১০০০ কিলোমিটার (৬২০ মাইল) দূরত্বে থেকে নিজ ঘরে ফিরে আসার জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত হয়।  
এদেরকে রেসিং বা রেসার কবুতর বলে। যাদের অনেক সময় ধরে  উড়ার দক্ষতা রয়েছে এবং অনেক প্রতিকূল পরিবেশেউ ঘড়ে ফিরে আসার ক্ষমতা রয়েছে। কবুতরের মূল বৈশিষ্ট্য হলো এটা অনেক দুর থেকে পথ চিনে ঘরে ফিরে আসতে পারে,এদের কে মূলত রেসার কবুতর বলে।তবে এদের উরন্ত ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ঘড়ে ফেরার দক্ষতা উন্নয়ন করার জন্য প্রয়োজন বিশেষ প্রশিক্ষণ।



আজ আমরা আলোচনা করবো কিভাবে রেসার কবুতরকে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কিভাবে আন্তজার্তিক মানের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।আপনি জেনে হয়ত অশ্চর্য হবেন যে রেসার কবুতরের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রায় ১০০১ টি পদ্ধতি বা মেথড রয়েছে। আপনি এই সমস্ত পদ্ধতির যে কোন একটি গ্রহণ করতে পারেন। তবে আজ আমি যে পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করবো তাকে "Simple Method" বলে।

এটিকে দুইটি ভাগে আমরা ভাগ করে আলোচনা করবো।
১/ অল্প বয়সি কবুতরের রেসিং ট্রেইনিং।
২/ বয়স্ক কবুতরের রেসিং ট্রেইনিং।


***অল্প বয়সি কবুতরের রেসিং ট্রেইনিংঃ-


রেস কবুতরের প্রশিক্ষণ কোন সহজ কাজ নয়। কবুতর অনুরাগীরা খুব অল্প বয়স থেকেই এদের প্রশিক্ষণ দিতে পছন্দ করেন। নিয়মিত  পরিকল্পিত অনুযায়ী প্রশিক্ষণ আপনাকে ইতিবাচক ফলাফল এনে দিবে এর জন্য প্রয়োজন আপনার ধর্য্য এবং একাগ্রতা। যদি আপনি হাল ছেড়ে দেন তবে আপনি ব্যার্থ হবেন। এদেরকে প্রশিক্ষণ দেবার সময় অনেকগুলো বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয় বিশেষত খাদ্য এবং এর পরিপূরক গুলো বিবেচনা করা উচিত। সর্ব প্রথম আপনাকে যে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে সেটি হলো এদের খাবার ও পানি যাতে এরা ঘরে ফিরে এসেই গ্রহন করতে পারে।
আপনি খুব অল্প বয়সেই মূলত ২৪-৩০ দিনের বয়স থেকে এদের ট্রেইনিং করাতে পারলে সম্ভাব্য সেরা রেসিং কবুতরগুলি খুঁজে পাওয়া সম্ভব। রেসার কবুতরদের প্রশিক্ষণের সম্ভাব্য পদ্ধতিগুলি রেসের ধরণ এবং দূরত্বের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়ে থাকে। এছাড়াও খাবারের গ্রহণের ধরনের উপর নির্ভর করে পদ্ধতিগুলিও পরিবর্তিত হয়। বিভিন্ন ধাপে এদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়,চলুন ধাপ গুলো জেনে নেই।



#ধাপ ১ঃ- এদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো অল্প বয়স থেকেই শুরু করা। অল্প বয়সে এদেরকে লফ্টে একটি নেটের তারে ঘেরা অঞ্চলে রেখে প্রশিক্ষণটি শুরু করুন এবং লফ্টে খাবার রাখুন। এটি তাদের খাবার এবং জলের জন্য লফ্টে ফেরা নিশ্চিত করবে এবং লফ্ট চিনতে সাহায্য করবে। এই কাজটি প্রথম দুই থেকে তিন সপ্তাহ অনুসরণ করা যেতে পারে।

#ধাপ ২ঃ- এখন আপনি তারেঘেরা অঞ্চলটি উন্মুক্ত করে দিন এবং কবুতরগুলি মুক্ত করে দিন এবং এদেরকে স্বাধীন ভাবে উড়তে দিন। ভয় পাবেন না, এই পর্যায়ে কবুতরগুলি উড়তে শুরু করবে,ঝাঁক বেধে চলবে এবং খাবার ও পানির জন্য লফ্টে ফিরে আসবে।এভাবে প্রথম ২ থেকে ৩ সপ্তাহ অনুসরণ করুন।

#ধাপ ৩ঃ- এবার আপনি কবুতর গুলোকে নিয়ে ২ বা ৩ মাইল দূরে নিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু করুন।  কবুতরগুলি নিজে লফ্টে ফিরে আসা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত পরবর্তী কয়েক দিন এটি চালিয়ে যান। যখন আপনি নিশ্চিত হবেন যে তারা কয়েকবার লফ্টে ফিরে আসে, এখন ধীরে ধীরে এটিকে ৫, ১০, ১২, ১৫, ২০ মাইল এভাবে ধিরে ধিরে বাড়িয়ে দিন।এভাবে প্রতিটা স্টেজে একাধিক বার সময় নিন।কবুতরদের প্রশিক্ষণের জন্য এটি সহজতম পদ্ধতি।  প্রতিদিন বা সপ্তাহে কমপক্ষে তিনবার নিয়মিত কবুতরগুলি বাইরে নিয়ে যান।

বয়স্ক কবুতরের রেসিং ট্রেইনিংঃ-

রেস কবুতরের প্রশিক্ষণ কোন সহজ কাজ নয়। কবুতর অনুরাগীরা খুব অল্প বয়স থেকেই এদের প্রশিক্ষণ দিতে পছন্দ করেন। নিয়মিত  পরিকল্পিত অনুযায়ী প্রশিক্ষণ আপনাকে ইতিবাচক ফলাফল এনে দিবে এর জন্য প্রয়োজন আপনার ধর্য্য এবং একাগ্রতা। যদি আপনি হাল ছেড়ে দেন তবে আপনি ব্যার্থ হবেন। এদেরকে প্রশিক্ষণ দেবার সময় অনেকগুলো বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয় বিশেষত খাদ্য এবং এর পরিপূরক গুলো বিবেচনা করা উচিত। সর্ব প্রথম আপনাকে যে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে সেটি হলো এদের খাবার ও পানি যাতে এরা ঘরে ফিরে এসেই গ্রহন করতে পারে।
আপনি খুব অল্প বয়সেই মূলত ২৪-৩০ দিনের বয়স থেকে এদের ট্রেইনিং করাতে পারলে সম্ভাব্য সেরা রেসিং কবুতরগুলি খুঁজে পাওয়া সম্ভব। রেসার কবুতরদের প্রশিক্ষণের সম্ভাব্য পদ্ধতিগুলি রেসের ধরণ এবং দূরত্বের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়ে থাকে। এছাড়াও খাবারের গ্রহণের ধরনের উপর নির্ভর করে পদ্ধতিগুলিও পরিবর্তিত হয়। বিভিন্ন ধাপে এদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়,চলুন ধাপ গুলো জেনে নেই।


এই কৌশলটির প্রভাবগুলি হল যে আপনার কবুতরগুলি বাইরে মূল্যবান সময়টি ব্যায় করবেনা এবং দ্রুত লফ্টে খাবার উদ্দেশ্যে ফিরে আসবে। প্রশিক্ষণের জন্য পরিষ্কার নীল আকাশ বা ভালো আবহাওয়া হওয়া উচিত।

 নিশ্চিত করুন যে রেসে বা প্রশিক্ষণের কবুতর গুলো যেন অবশ্যই ট্যাপ ডোর দিয়ে প্রবেশ করে এবং যদি তাতে রেকর্ড সেন্সর না দেয়া থাকে তবে তাদের আগমনের সময় সম্পর্কে ম্যানুয়ালি ( নিদিষ্ট স্থান থেকে কবুতরগুলো ছাড়ার সময় এবং লফ্টে প্রবেশের সময়)প্রতিটা কবুতরের জন্য আলাদা আলাদা নোট করতে হবে ট্যাগ নাম্বার অনুযায়ী ( ট্যাগ সম্পর্কে অন্য একটি পোস্টে আলোচনা করবো) । যদি আপনার কবুতরগুলি একটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে ভাল রেজাল্ট সম্পাদন না করে তবে সঠিক সময়ে রিটার্ন শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রশিক্ষণটি ২-৩ বার পুনরাবৃত্তি করুন।


আপনি যখন আপনার পুরানো কবুতরগুলো কে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করবেন তখন আপনি সর্বপ্রথম কোন মেথর্ড টি অনুসরণ করবেন সেটি আগে চিন্তা করতে হবে। একটু নির্দিষ্ট মৌসুম রেসিং এর জন্য নির্বাচন করুন এবং সেই অনুযায়ী  কবুতরগুলিকে প্রশিক্ষণ দিন।

আমি এখানে একজন আন্তর্জাতিক মানের কবুতর রেসার এর প্রশিক্ষক "Dacian Busecan"এর প্রশিক্ষণ পদ্ধতি গুলো উল্লেখ করবো।

তিনি তার প্রশিক্ষণ কে দুইটি ভাগে ভাগ করেছেন।
১/ গতি এবং মাঝারি দূরত্বের পরিক্ষা প্রশিক্ষণ।
২/  দীর্ঘ দূরুত্বের এবং সহ্যশক্তির পরিক্ষা প্রশিক্ষণ।

***গতি এবং মাঝারি দূরত্বের পরিক্ষা প্রশিক্ষণ পদ্ধতিঃ-

***প্রথম সপ্তাহঃ-

 ২০কিঃমি- প্রথম দিন

 ২৫কিঃমি- দ্বিতীয় দিন

 ৩০ কিঃমি- তৃতীয় দিন

 ৪০ কিঃমি- চতুর্থ দিন

 ৪৫ কিঃমি - পঞ্চম দিন

ষষ্ঠ এবং সপ্তম-  ২ দিনের বিরতি।

*** দ্বিতীয় সপ্তাহঃ-

 ৪০কিঃমি- প্রথম দিন।

 ৭০কিঃমি- দ্বিতীয় দিন।

 ৯০কিঃমি- তৃতীয় দিন।

 ১০০ কিঃমি- চতুর্থ দিন।

 ১০০ কিঃমি - পঞ্চম দিন।

ষষ্ঠ এবং সপ্তম দিন -২ দিন বিরতি।

*** তৃতীয় সপ্তাহঃ-

১৫০ কিঃমি,পশ্চিম দিক থেকে - প্রথম দিন।

১৫০ কিঃমি,পূর্ব দিক থেকে- দ্বিতীয় দিন।

১৫০ কিঃমি,উত্তর দিক থেকে- তৃতীয় দিন।

১৫০ কিঃমি,দক্ষিণ দিক থেকে - চতুর্থ দিন।

১৫০ কিঃমি, রেসের গন্তব্যের দিক থেকে - পঞ্চম দিন।

ষষ্ঠ এবং সপ্তম দিন -২ দিন বিরতি।


***চতুর্থ সপ্তাহঃ-

-প্রথম রেসের জন্য এটি সত্যই গুরুত্বপূর্ণ (যেমন: ১০০ কিলোমিটার রেসের জন্য। )

 ৯০ কিঃমি - প্রথম দিন।

 ১০০ কিঃমি, (প্রতিযোগিতার মুল পয়েন্টের নিকটবর্তী স্থান থেকে)- দ্বিতীয় দিন।

 ৯০ কিঃমি- তৃতীয় দিন।

 ১০০ কিঃমি-(দ্বিতীয় দিন এর মতো)-  চতুর্থ দিন

পঞ্চম দিন -কবুতরগুলি লফ্টের অভ্যন্তরে থাকবে - এটি Basketing এর দিন।



চতুর্থ সপ্তাহে আপনি কী কাজ সম্পন্ন করেছেন, আপনি চতুর্থ দিনে কবুতর গুলোকে যে ভাবে রেখেছিলেন ঠিক সেই ভাবেই  প্রশিক্ষণ থেকে ফিরে আসার সময়ে সে কী আচরণ করবে তা আপনাকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

মধুর উপকারিতা

মধুর উপকারিতা



কবুতরকে টিকা দিন 

মধু মানুষের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত এক অপূর্ব নেয়ামত। স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং যাবতীয় রোগ নিরাময়ে মধুর গুণ অপরিসীম। রাসূলুল্লাহ (সা.) একে ‘খাইরুদ্দাওয়া’ বা মহৌষধ বলেছেন। আয়ুর্বেদ এবং ইউনানি চিকিৎসা শাস্ত্রেও মধুকে বলা হয় মহৌষধ। এটা যেমন বলকারক, সুস্বাদু ও উত্তম উপাদেয় খাদ্যনির্যাস, তেমনি নিরাময়ের ব্যবস্থাপত্রও। আর তাই তো খাদ্য ও ওষুধ এ উভয়বিধ পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ নির্যাসকে প্রাচীনকাল থেকেই পারিবারিকভাবে ‘পুষ্টিকর ও শক্তিবর্ধক’ পানীয় হিসেবে সব দেশের সব পর্যায়ের মানুষ অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে ব্যবহার করে আসছে। মধুতে যেসব উপকরণ রয়েছে তন্মধ্যে প্রধান উপকরণ সুগার। সুগার বা চিনি আমরা অনেকই এড়িয়ে চলি। কিন্তু মধুতে গ্লুকোজ ও ফ্রুকটোজ এ দুটি সরাসরি মেটাবলাইজড হয়ে যায় এবং ফ্যাট হিসাবে জমা হয় না। মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ে মধুর নমুনা পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, এতে অ্যালুমিনিয়াম, বোরন, ক্রোমিয়াম, কপার, লেড, টিন, জিংক ও জৈব এসিড (যেমন-ম্যালিক এসিড, সাইট্রিক এসিড, টারটারিক এসিড এবং অক্সালিক এসিড), কতিপয় ভিটামিন, প্রোটিন, হরমোনস, এসিটাইল কোলিন, অ্যান্টিবায়োটিকস, ফাইটোনসাইডস, সাইস্টোস্ট্যাটিক্স এবং পানি (১৯-২১%) ছাড়াও অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। ভিটামিন যেমন- ভিটামিন সি বা অ্যাসকরবিক এসিড, ভিটামিন বি-১, বি-২, বি-৩, বি-৫, বি-৬, ভিটামিন-ই, ভিটামিন-কে, ভিটামিন-এ বা ক্যারোটিন ইত্যাদি বিদ্যমান। মধু এমন ধরনের ওষুধ, যার পচন নিবারক (অ্যান্টিসেপটিক), কোলেস্টেরলবিরোধী এবং ব্যাকটেরিয়াবিরোধী ধর্ম আছে। প্রতিদিন সকালে এবং বিকালে খালি পেটে চা চামচের দুই চামচ করে মধু ডান হাতের তালুতে নিয়ে চেটে খেতে হবে। নিয়মিত ও পরিমিত মধু সেবন করলে  যেসব উপকার পাওয়া যায়। তা হলোLive করোনা Update

১. হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। রক্তনালি প্রসারণের মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে এবং হৃদপেশির কার্যক্রম বৃদ্ধি করে;
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে;
৩. দাঁতকে পরিষ্কার ও শক্তিশালী করে;
৪. দৃষ্টিশক্তি ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে;
৫. মধুর রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতা, যা দেহকে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের হাত থেকে রক্ষা করে;
৬. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে ও কোষকে ফ্রি রেডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে;
৭. বার্ধক্য অনেক দেরিতে আসে;
৮. মধুর ক্যালরি রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায়, ফলে রক্তবর্ধক হয়;

Vlit 👉 "কবুতরের খোজ নিন"

৯. যারা রক্ত স্বল্পতায় বেশি ভোগে বিশেষ করে মহিলারা, তাদের জন্য নিয়মিত মধু সেবন অত্যন্ত ফলদায়ক;
১০. গ্লাইকোজেনের লেভেল সুনিয়ন্ত্রিত করে;
১১. আন্ত্রিক রোগে উপকারী। মধুকে এককভাবে ব্যবহার করলে পাকস্থলীর বিভিন্ন রোগের উপকার পাওয়া যায়;
১২. আলচার ও গ্যাস্ট্রিক রোগের জন্য উপকারী;
১৩. দুর্বল শিশুদের মুখের ভেতর পচনশীল ঘায়ের জন্য খুবই উপকারী;
১৪. শরীরের বিভিন্ন ধরনের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং উষ্ণতা বৃদ্ধি করে;
১৫. ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ মধু স্নায়ু এবং মস্তিষ্কের কলা সুদৃঢ় করে;
১৬. মধুতে স্টার্চ ডাইজেস্টি এনজাইমস এবং মিনারেলস থাকায় চুল ও ত্বক ঠিক রাখতে অনন্য ভূমিকা পালন করে;
১৭. মধু কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে;
১৮. ক্ষুধা, হজমশক্তি ও রুচি বৃদ্ধি করে;
১৯. রক্ত পরিশোধন করে;
২০. শরীর ও ফুসফুসকে শক্তিশালী করে;
২১. জিহ্বার জড়তা দূর করে;
২২. মধু মুখের দুর্গন্ধ দূর করে;
২৩. বাতের ব্যথা উপশম করে;
২৪. মাথা ব্যথা দূর করে;
২৫. শিশুদের দৈহিক গড়ন ও ওজন বৃদ্ধি করে;
২৬. গলা ব্যথা, কাশি-হাঁপানি এবং ঠাণ্ডা জনিত রোগে বিশেষ উপকার করে;
২৭. শিশুদের প্রতিদিন অল্প পরিমাণ মধু খাওয়ার অভ্যাস করলে তার ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশি, জ্বর ইত্যাদি সহজে হয় না;
 ২৮. শারীরিক দুর্বলতা দূর করে এবং শক্তি-সামর্থ্য দীর্ঘস্থায়ী করে;
২৯. ব্যায়ামকারীদের শক্তি বাড়ায়;
৩০. মধু খাওয়ার সাথে সাথে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে, ফলে শরীর হয়ে উঠে সুস্থ, সতেজ এবং কর্মক্ষম।

খুশি থাকতে নিজকে জানুন

খুশি থাকতে নিজকে জানুন


একটি ‘ম্যানেজড’ জীবন যেমন নিজেকে জানতে সাহায্য করে। তেমনই নিজের সীমাবদ্ধতাগুলোকেও জানায়। কামনা, ক্রোধ, লোভ, লালসা এবং হিংসা-এই পাঁচ হচ্ছে সব সমস্যার মূল কারণ। এই সবই আমাদের জন্য নেতিবাচক ফলাফল ডেকে আনে।
জীবনের এমনই বিভিন্ন বিষয়ে একজন সেলফ ম্যানেজমেন্ট কাউন্সিলারের পরামর্শ তুলে ধরা হলো -:
Corona Update - 


১.  অন্যের সঙ্গে নিজের তুলনা করা বন্ধ করতে হবে। এই ধরনের তুলনা আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়।
২. নিজ প্রতিক্রিয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। এর জন্য যোগ ব্যায়াম ও মেডিটেশন করা যেতে পারে। এসব অনুশীলনে স্নায়ুও শান্ত হবে।
৩. অন্যের কথা শুনতে হবে, বুঝতে হবে। এতে করে দ্বন্দ্ব এড়ানো সম্ভব।
৪. ঘুম মাধ্যমে আমাদের শরীর পুনরুজ্জীবিত হয়। তাই সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে।
৫. কোনো কাজে বিরক্তি বা কষ্ট মনে হলে, তা থেকে আপাতত নিজেকে দূরে রাখতে হবে।একটি কথা মনে রাখতে হবে নেতিবাচক মনোভাবের শরীরে নির্দিষ্ট ধরনের হরমন নিষ্কাষন হয়। তাই স্বভাবতই সব কিছুই খারাপ লাগতে শুরু করে। এমন সময় নিজেকে বোঝাতে হবে ‘সব ঠিক আছে’। নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে মনকে আদেশ করতে হবে। তবেই নিজেকে বশে রাখা সম্ভব।

করোনা আপডেট

কবুতরের বাচ্চার এডিনো ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

কবুতরের বাচ্চার এডিনো ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়









কবুতরের বাচ্চার এডিনো ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়



কবুতরের বাচ্চার এডিনো ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়ঃ


এডিনো ভাইরাস দ্বারা আক্রান্তের লক্ষণঃ

  • খুব ঘন ঘন বমি করতে দেখা যায়।
  • ডায়রিয়া হয়ে থাকে।
  • পায়রার শারীরিক আবস্থা খারাপ হয়।
  • প্রথম সপ্তাহে এর লক্ষন প্রকাশ হয় খামারে।
  • মৃত্যু হার বেশি না।
  • অনেক ক্ষেত্রে একই সমস্যা যা e-coli সংক্রমণ প্রদর্শিত হবে।
  • বাচ্চার বৃদ্ধি দেরি হয়।
  • হঠাৎ Nestlings মৃত্যু।
  • খুব কম বা শূন্য দৈহিক কর্মক্ষমতা।
  • হরিদ্রাভ, সবুজাভ বা হলুদ পায়খানা করে।
  • শরীর শুকিয়ে যাওয়ার প্রবনতা দেখা যায়।
এডিনো ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়ঃ

১। কবুতরের স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং কবুতর ঠাসাঠাসি করে রাখা যাবে না।

Vsit -: কবুতরের নানা রোগ 
২। একটি ভাল মৌলিক স্বাস্থ্যবিধি মাধ্যমে কবুতরের রোগের সংক্রমণ এর প্রধান কারণ স্ট্রেস বা চাপ কম থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।
৩। ভাল মানের খাদ্য ও ভিটামিন প্রদান করতে হবে। 
৪। অন্ত্রের উদ্ভিদকুল বা পারাসাইট সর্বোত্তম অবস্থায় নির্মূল নিশ্চিত করতে হবে।
৫। নিয়মিত বিশুদ্ধ পানি খাওয়াতে হবে। 
৬। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রতিষেধক ওষুধ খাওয়াতে হবে।