Thursday, August 23, 2018

কবুতর পরিচিতি (২): জালালি কবুতর

SHARE
কবুতর পরিচিতি (২): জালালি কবুতর
-------------------------------------------------------------
আপনাদের কি মনে আছে আমরা প্রথমে কি কবুতর নিয়ে কথা বলেছিলাম? হ্যাঁ, আমরা আগের পর্বে জেনেছিলাম দেশী/গোলা/গোবিন্দ কবুতর সম্পর্কে। আজ আমরা যে কবুতর সম্পর্কে জানব তাঁর নাম হল জালালি কবুতর। এটিই বোধহয় একমাত্র কবুতর যার সাথে একটি সুন্দর ইতিহাস জড়িত আছে। তো সংক্ষেপে জেনে নেয়া যাক ইতিহাসটা… আমরা সবাই জানি সিলেটের বিখ্যাত সুফি দরবেশ শাহ্ জালালের (রাঃ) কথা। তাঁর পুরো নাম শায়খ শাহ জালাল কুনিয়াত মুজাররদ। তাঁর সম্পর্কে ছোট্ট আরও একটি তথ্য দিয়ে রাখি, তাঁর জন্মভূমি ইয়েমেনে যা আমরা অনেকেই জানিনা। যাইহোক, ১৩০৩ সালে (৭০৩ হিজরী) ৩২ বছর বয়সে তিনি সিলেটে আসার পথে দিল্লীর আউলিয়া নিজামুদ্দীনের সাথে সাক্ষাত করেছিলেন। সাক্ষাতের বিদায়কালে প্রীতির নিদর্শন স্বরূপ নিজামুদ্দীন হজরত শাহ্ জালাল (রাঃ) কে এক জোড়া সুরমা রঙের কবুতর উপহার দিয়েছিলেন। এই কবুতর নিয়েই তিনি সিলেটে এসেছিলেন। সেই থেকে সিলেটে এই কবুতরের ব্যাপকতা দেখা যায় এবং এর নাম হয় “জালালি কবুতর”।
জালালি কবুতরও আসলে এক ধরণের দেশী কবুতর। এই কবুতরের বৈশিষ্ট্য আর কি বলব! এর সকল বৈশিষ্ট্য ও দাম দেশী কবুতরের মতোই তবে এর বিশেষত্ব হল এর গায়ের রঙ। ধূসর বর্ণের দেহে পালকের উপর উভয় পাশে ২টো কালো রেখা আছে এদের। একই ধরণের অনেকটা লালচে বর্ণের এক ধরণের কবুতর দেখা যায়, সেগুলোকে জালালি কবুতর বলা হয়না। জালালি কবুতর দেখতে ভারি সুন্দর লাগে। অনেকে শাহ্ জালাল (রাঃ) এর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে জালালি কবুতরের মাংস খান না। এই কবুতর সকল কবুতরের হাটে/দোকানে পাওয়া যায়। আমাদের যাদের বাসায় কবুতর আছে, আমরা একজোড়া হলেও জালালি কবুতর রাখব, কেমন?
আজ তাহলে এই পর্যন্তই। পরের পর্বে আমরা ভিন্ন কোন কবুতর নিয়ে হাজির হব। বলতে ভাল লাগেনা তবুও বলি… আপনারা আমাদের স্ট্যাটাস লাইক ও শেয়ার করেন প্লীজজজজজ, এই টুকু কাজ করতে খুব বেশি কষ্ট হওয়ার কথা না! আর অন্য পেইজের এডমিন ভাইয়েরা শোনেন, আমাদের স্ট্যাটাস কপি করতে পারেন তবে দয়া করে আমাদের পেইজ লিঙ্কটা দিয়ে আমাদের সহায়তা করবেন। নিজেকে নিরাপদে রাখবেন। ধন্যবাদ।
SHARE

Author: verified_user

0 comments: