শীতে কবুতর বিভিন্ন সমস্যা
তে ভুগে থাকে, এরমধ্যে অন্যতম যেমনঃ
১) ডাইরিয়া,
২) চোখ ওঠা,
৩) পা অবস বা পেরালাইসিস,
৪) কারন ছাড়া ঝিমানো,
৫) সর্দি-কাশিতে ঘরঘর করা, মুখ হা করে শ্বাস নেয়া ইত্যাদি।
তবে এসব সমস্যায় ভয় পাবার কিছু নেই।
১) খেয়াল রাখতে হবে যেন আপনার কবুতরের খাদ্যে পরিমানমতো তৈলবীজ থাকে,যেমনঃ বাজরা, তিসি, সরিষা, কুসুমবীজ, সূর্যমুখী বিচি ইত্যাদি।
২) খেয়াল রাখতে হবে যেন আপনার খামার স্যাঁতস্যাঁতে নয় শুকনো থাকে। আর এজন্য আপনাকে প্রয়োজন হলে বরিকপাউডার ছিটাতে হবে; আর সম্ভব হলে ছোট একটুকরা কাপড়, পেপার, বা চট মাটিতে বিছিয়ে দিতে পারেন।
৩) নিয়মিত ক্যালসিয়াম দিতে হবে, সাথে ভিটামিন ‘ই’ দিন, কারণ ভিটামিন ‘ই’ যোগ না করলে ক্যালসিয়াম বেশিমাত্রায় শোষিত হবে না কবুতরের শরীরে। মাসে ৩-৪ দিন দিতে হবে, যদি গরম বেড়ে যায় তবে এর মাত্রা কমিয়ে দিন।
৪) মাসে ২/৩ দিন আলাদাভাবে রসুন বাঁটা ১ লিটার পানিতে ২ চা চামচ মিক্স করে ছেকে সাধারন পানির মতো সরবরাহ করে দিন। এতে আপনার কবুতর সাল্মনিল্লামুক্ত থাকবে ও শরীরও উষ্ণ থাকবে।
৫) যদি কৃমির ঔষধ খাওয়ানো থাকে তাহলে মধু যোগ করতে পারেন এর সাথে।
৬) ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স দিন ৩-৪ দিন মাসে ও মাল্টি ভিটামিন দিন ৩-৪ দিন মাসে.
৭) Calceria Curb 30 , ১ সিসি ১ লিটার পানিতে মিক্স করে দিতে হবে মাসে ১ বার। (রোগপ্রতিরোধ ও সর্দিকাশির জন্য)
৮) আক্রান্তক্ষেত্রে সর্দিকাশির জন্য Dulkamara 30, ৩ ফোটা করে অল্প একটু পানির সাথে করে দিতে হবে দিনে ৩/৪ বার। আক্রান্তক্ষেত্রে যদি সর্দিকাশির সাথে শরীর হালকা গরম
থাকে, হা করে নিঃশ্বাস নেয়, তাহলে Rush Tox 30, ৩ ফোটা করে অল্প একটু পানির সাথে করে দিতে হবে দিনে ৩-৪ বার। আর নিয়মিত স্যালাইন দিবেন।
৯) চোখে সমস্যার জন্য-
যেমনঃ চোখে পেচুটি কাটা, চোখবন্ধ হয়ে যাওয়া, পানিপড়া ইত্যাদি কারনে cipro a or dexcholore eye drop দিতে হবে দিনে ৫-৬ বার।এছাড়াও Pulsetila 200, ৩ ফোটা করে অল্প একটু
পানির সাথে করে দিতে হবে দিনে ২-৩ বার (যদি পুজ জমে ও চোখ বন্ধ হয়ে যায় তবে।) অথবা Merecurius Sol 30, ৩ ফোটা করে অল্প একটু পানির সাথে করে দিতে হবে দিনে ২ বার। ২-৪ দিন দিতে হবে। (যদি পানি পড়ে ও ফুলে থাকে)।
১০) সর্দিকাশি, ডাইরিয়া ইত্যাদি ভাইরাস সংক্রামণ থেকে হয়, তাই অ্যান্টিবায়টিক কোন কাজে আসে না।
১১) কবুতরের জমানো খাবার ও গ্রিটে কোন মতেই যেন না ভেজে বা ফাঙ্গাস না ধরে, তাই অতিরিক্ত সাবধানতা হিসাবে হালকা গরম করে নিতে পারেন।
যদি আপনি আপনার খামারের সঠিক যত্ন নেন আশাকরি এই শীত অনায়াসে নিশ্চিন্তে পার করতে পারবেন।
শেয়ার করুন
0 comments: